
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং ক্রিকেট এর সর্বোচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) মধ্যে সুসম্পর্ক নিয়ে অনেক আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে ।
তবে সম্প্রতি তেমন কিছুই দেখা যায়নি । আইসিসির সাথে বিসিসিআইয়ের সরাসরি বিরোধ আছে । বিসিসিআই এর কথা শুনছেনা আইসিসি ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টি-টুয়েন্টি সিরিজে ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহেলি “আম্পায়ার্স কল” নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
গত ১৮ মার্চ আহমেদাবাদে ইংল্যান্ড – ভারতের মধ্যেকার ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে যাওয়া সূর্যকুমার যাদবকে আউট দেয়ায় কোহেলি ক্ষুব্দ হয়েছিলেন।
“সফট সিগন্যাল” দেয়ায় আম্পয়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরাট কোহেলি এবং ক্রিকেটের এই নিয়ম পরিবর্তন চান।
আম্পায়ারদের যেভাবে ডিআরএস নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে তাতেও কোহলি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন।
কোহেলি ক্ষুব্দ হয়ে বলেন, তৃতীয় আম্পায়ার এই সফটসিগনাল সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যেমনটি হয়ে থাকে ডিআরএসের ক্ষেত্রেও। এটি বন্ধ হওয়া দরকার। অন্যথায় এই এই জাতীয় সিদ্ধান্ত একটি বড় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আজ আমাদের ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে, কাল অন্য দল গুলো এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আমরা এই জাতীয় ম্যাচে আরো স্বচ্ছতা আশা করি।
আইসিসির প্রস্তাবিত, মাঠে আম্পায়ার্স কল কে বৈধতা দিতে নারাজ বিসিসিআই। বিসিসিআই নিয়ম পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে আইসিসি এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের তীব্র বিরোধীতার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মাঠে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করতে চায়।
আইসিসি ক্রিকেট কমিটি যুক্তি দেয় যে, বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি কখনই শতভাগ নির্ভুল হয় না। সুতরাং আপনাকে মাঠে আম্পায়ারদের উপর নির্ভর করতে হবে।
এত দিন ধরে আইসিসি আম্পায়ারদের কলকে প্রাধান্য দিত। তবে চূড়ান্ত কোনও নিয়ম ছিল না।
জানা গেছে, আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি এই নিয়ম চূড়ান্ত করতে পরের সপ্তাহে একটি সভা ডেকেছে। এই নিয়মটিকে সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। আইন দ্বারা এটি চূড়ান্ত হলে কোহলি বা ভারতীয় বোর্ডের কাছ থেকে আর কিছু বলার নেই।